ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন কার্যক্রম (Dhaka University Telemedicine Programme)

 

আমাদের টেলিমেডিসিন সেবার সংক্ষিপ্ত তথ্য

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন কার্যক্রম’ (Dhaka University Telemedicine Programme – DUTP) হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ পরিচালিত একটি কার্যক্রম যার মাধ্যমে শহরের এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পেতে পারছেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার জনগণ। এর জন্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে আসছি আমরা ২০১৫ সাল থেকে। এ সময়ে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার ৩১,৭০০এরও বেশী রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পথচলায় BRAC-Manthan Award-2016, Manthan South Asia Award-2016/17, WSIS Award (Geneva)-2017 এবং 3rd Commonwealth Digital Health Award-2018 আমাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছে।

আমরা শহরে এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের তৈরী টেলিমেডিসিন সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার টেলিমেডিসিন কেন্দ্রে যে সব রোগী আসবেন তাদেরকে ইন্টারনেটের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলিয়ে দিতে পারবেন। ডাক্তার সাহেবের দেওয়া লিখিত প্রেসক্রিপশনও ইন্টারনেটের মধ্যে আপনার কাছে চলে আসবে যা আপনি রোগীকে প্রিন্ট করে দিতে পারবেন। তবে কেবল ভিডিও কনফারেন্সই নয়, আমাদের ব্যবস্থায় ইলেক্ট্রনিক ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ, ডিজিটাল ইসিজি এবং ষ্ট্যান্ড-ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর কিছু শারীরিক তথ্য আপনিই সংগ্রহ করে সরাসরি ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবেন (যদি আপনি তা সংগ্রহ করেন)। এ সবগুলো যন্ত্র আমাদের তৈরী এবং দেশে আর কোন টেলিমেডিসিন ব্যবস্থায় এ সুবিধাগুলো পাবেন না। পাশাপাশি রোগীর উচ্চতা, ওজন তাপমাত্রা, ব্লাড প্রেশার, ব্লাড গ্লুকোজ এগুলোও পরিমাপ করে আমাদের তৈরী টেলিমেডিসিন সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি তা ডাক্তার সাহেবের কাছে পাঠাতে পারবেন। আর এ সব তথ্য ইন্টারনেটের ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষিত থাকছে যা ভবিষ্যতে ঐ রোগীর চিকিৎসায় রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া আপনি চাইলে আমাদের মাধ্যমে ‘Thyrocare’ নামে একটি বিশ্বমানের প্যাথলজি সেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন। কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার কেন্দ্র থেকে পাঠানো রক্ত, মল মূত্র ইত্যাদির নমুনা ঢাকায় তাদের ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করে পরদিনই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে।

এর ফলে গ্রামে বসেই আপনি আপনার এলাকা বাসিন্দাদেরকে শহরের ডাক্তারের উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ সেবা দিতে পারবেন, আর তার জন্য রোগীকে দূরেও যেতে হচ্ছে না, আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না। মা-বোনদের সুবিধার জন্য মহিলা ডাক্তারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

আপনার যদি কম্পিউটার, প্রিন্টার, ও 3G ইন্টারনেটের সংযোগ থাকে তবে টেলিমেডিসিন সফটওয়্যার ব্যবহার (১ বছরের জন্য), টেলিমেডিসিন অপারেটর প্রশিক্ষণ ফি, ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ, ওজন, রক্তচাপ ও রক্তের গ্লুকোজ মাপার যন্ত্রের জন্য প্রায় পনেরো থেকে পঁচিশ হাজার টাকা বিনিয়োগে আপনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন কার্যক্রমের উদ্যোক্তা একজন হতে পারবেন। অনলাইনে আমাদের বিভাগের ওয়েবসাইটে (নিচে ঠিকানা দেওয়া আছে) বিস্তারিত তথ্যপুস্তিকা পাবেন।

আপনার এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবাটি প্রচারের জন্য তথ্যের মাধ্যমে আমরা সহযোগিতা করব।

উদ্যোক্তা হতে করণীয়ঃ

১। আমাদের কেন্দ্রভিত্তিক টেলিমেডিসিন সার্ভিস পেজ থেকে নির্ধারিত ‘উদ্যোক্তা আবেদন ফরম’টি পূরণ করে আবেদন করুন।

২। সব আবেদনগুলোকে যাচাই-বাছাই করে বাছাই করা উদ্যোক্তাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় জানিয়ে দেওয়া হবে।  যাদেরকে বাছাই করা হবে না, তাদেরকেও বাছাই না করার কারণ ব্যখ্যা করে জানানো হবে।

৩। বাছাই করা উদ্যোক্তাদেরকে আমাদের ব্যাংক একাউন্টে নির্ধারিত ফিস জমা দিয়ে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করতে হবে।

৪। আপনি নিজে বা অন্য একজনকে টেলিমেডিসিন অপারেটর হিসেবে তৈরির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বিভাগে দুই দিনের নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে পাঠাতে হবে। তবে যিনি টেলিমেডিসিন অপারেটর হবেন কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শিতা সহ তার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে যা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন।

আমাদের কেন্দ্রভিত্তিক টেলিমেডিসিন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের বাটনটিতে ক্লিক করুন